
-
Posted By admin
-
-
Comments 0
মানবদেহের স্বাভাবিক বৃদ্ধি, বিকাশ, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি এবং সুস্থ থাকার জন্য বিভিন্ন পুষ্টি উপাদানের প্রয়োজন। এই পুষ্টি উপাদানগুলি বিভিন্ন খাদ্য থেকে পাওয়া যায়। সুষম খাদ্য গ্রহণের মাধ্যমে শরীরের প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদানগুলি পূরণ করা যায়।
পুষ্টি উপাদান
পুষ্টি উপাদানগুলিকে প্রধানত ছয়টি ভাগে ভাগ করা যায়। যথা:
- কার্বোহাইড্রেট: শরীরের প্রধান শক্তির উৎস। ভাত, রুটি, আলু, ভুট্টা, ডাল, চিনি, ফল ইত্যাদিতে কার্বোহাইড্রেট থাকে।
- প্রোটিন: শরীরের বৃদ্ধি ও ক্ষয়পূরণের জন্য প্রয়োজনীয়। মাছ, মাংস, ডিম, দুধ, ডাল, শিম ইত্যাদিতে প্রোটিন থাকে।
- চর্বি: শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় একটি পুষ্টি উপাদান। তবে অতিরিক্ত চর্বি গ্রহণ স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। তেল, মাখন, ঘি, দুধ, ডিম, মাছ ইত্যাদিতে চর্বি থাকে।
- ভিটামিন: শরীরের বিভিন্ন শারীরিক কার্যাবলীর জন্য প্রয়োজনীয়। ফল, সবজি, দুধ, ডিম, মাছ ইত্যাদিতে ভিটামিন থাকে।
- খনিজ পদার্থ: শরীরের বিভিন্ন শারীরিক কার্যাবলীর জন্য প্রয়োজনীয়। ফল, সবজি, মাছ, মাংস, ডিম ইত্যাদিতে খনিজ পদার্থ থাকে।
- পানি: শরীরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি উপাদান। শরীরের বিভিন্ন শারীরিক কার্যাবলীর জন্য পানি অপরিহার্য।
প্রয়োজনীয় খাবারের পরিমাণ
বয়স, শারীরিক পরিশ্রম, স্বাস্থ্য অবস্থা ইত্যাদির উপর নির্ভর করে প্রয়োজনীয় খাবারের পরিমাণ ভিন্ন হয়। তবে সাধারণভাবে একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের জন্য প্রতিদিন নিম্নলিখিত পরিমাণে খাবার খাওয়া উচিত:
- শর্করা: 200-250 গ্রাম
- প্রোটিন: 50-70 গ্রাম
- চর্বি: 60-80 গ্রাম
- ভিটামিন: বিভিন্ন ধরনের ফল ও সবজি
- খনিজ পদার্থ: বিভিন্ন ধরনের ফল, সবজি, মাছ, মাংস, ডিম
- পানি: 2-3 লিটার
সুষম খাদ্যের উপকারিতা
সুষম খাদ্য গ্রহণের মাধ্যমে শরীরের প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদানগুলি পূরণ করা যায়। এর ফলে শরীর সুস্থ থাকে এবং বিভিন্ন রোগের ঝুঁকি কমে। সুষম খাদ্যের উপকারিতাগুলি নিম্নরূপ:
- শরীরের বৃদ্ধি ও বিকাশের জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদানগুলি সরবরাহ করে।
- শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
- শরীরের বিভিন্ন শারীরিক কার্যাবলীর জন্য প্রয়োজনীয় শক্তি সরবরাহ করে।
- শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।
- হৃদরোগ, ক্যান্সার, ডায়াবেটিস ইত্যাদি রোগের ঝুঁকি কমায়।
সুষম খাদ্য গ্রহণের নিয়ম
সুষম খাদ্য গ্রহণের জন্য নিম্নলিখিত নিয়মগুলি মেনে চলতে হবে:
- প্রতিদিন বিভিন্ন ধরনের ফল ও সবজি খাওয়া উচিত।
- শর্করা জাতীয় খাবার পরিমিত পরিমাণে খাওয়া উচিত।
- প্রোটিন জাতীয় খাবার প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা উচিত।
- চর্বি জাতীয় খাবার পরিমিত পরিমাণে খাওয়া উচিত।
- ভিটামিন ও খনিজ পদার্থ সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া উচিত।
- পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করা উচিত।